নিজের সাথে প্রতারণা নয়
আমরা প্রত্যেকেই কোন না কোন জায়গায় আত্মকেন্দ্রীক, এতে দোষের কিছু নেই। নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে করতে পাড়া প্রতিবেশী কিংবা খুব কাছের মানুষদের প্রতিও উদাসীন হয়ে পড়ি যা আমাদেরকে খুব সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির এক জগতে নিমজ্জিত করে। এই পরিস্থিতি আমরা তৈরি করতে চেয়েছি এমনটা নয় বরং দীর্ঘ লালিত স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে গিয়ে অসংখ্য স্বার্থপর কার্যক্রম আমাদেরকে সংকীর্ণ এক মনোজগতে আটকে দেয়। বলা যায় এটা অবচেতন ভাবে হয়ে যায়।
জীবন যাপনে উচ্চ স্বপ্নবিলাসী হওয়ার দরকার নেই, একজন মানুষ বা একটি পরিবারের স্বচ্চল হওয়াটা দোষের নয় বরং অন্যকে ঠকিয়ে নিজের বা আপনা গন্ডির অর্থিক নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলাটা অন্যায়। সাম্যের দুনিয়া বিনির্মানে আমাদের অবদান নাও থাকতে পারে তবে বৈষম্য সমেত দুনিয়া ব্যবস্থা যেন আমাদের হাত ধরে না হয়।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আলজাজিরায় সাম্প্রতিক সময়ে প্রচারিত ও প্রকাশিত হওয়া একটি প্রতিবেদন আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল আমরা জাতি হিসেবে কত গ্রিডি এবং কতটা ভয়ংকর। পতিত স্বৈরাচারী সরকারের মন্ত্রী সাইফুজ্জামান রা পারিবারিক ভাবেই উচ্চবিত্ত বলা যায় দেশের শীর্ষ ধনীদের অন্যতম। তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশের ভাগ্যকে নিজের পকেটে পুরে কুমিরের চামড়ার জুতা পরিধান করাটা আমাদের তাচ্ছিল্য করার সমান। আলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আখতারুজ্জামান পরিবারের কি নেই? কেন তাদেরকে এদেশের সাধারণ মানুষের টাকায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রায় ৫০০টি বাড়ি করতে হবে? কেন কয়েক লাখ টাকার স্যুট-কোট পড়তে হবে?
আমি বিশ্বাস করি সে চায়লেই এই বিলাসিতা তার নিজের টাকায় করতে পারে। কিন্তু সে মানসিক ভাবে বিকারগ্রস্ত রাজনৈতিক ব্যাক্তি। এই ভাবে চুরি চামারি করে খাওয়ার মধ্যে পুরুষত্ব খুজে পেয়েছিল।
আমার চাওয়া, আপনারা যারা দেশের ভবিষ্যৎ দেশ শাসক আছেন আপনারা এরূপ সাইকো রাজনৈতিক হয়ে উঠবেন না। দেশে সাম্যভিত্তিক ব্যবস্থা গড়তে সহযোগিতা করবেন। দেশে ক্যান্সার আকৃতির উন্নয়ন করবেন না। সুষম উন্নয়ন দেশ ও জাতিকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নিয়ে যাবে।
সাইফুজ্জামান সাহেবেরা নিজেদের সাথে প্রতারণা করেছে, আমার বিশ্বাস সে এখন জনগণের মেরে খাওয়া সব সম্পত্তি ছেড়ে দিয়ে বাচতে চায় কিন্তু উপায় নেই। অতি বিলাসিতা তাকে এখন কুকড়ে খাচ্ছে।
আল্লাহ পাক আমাদের নির্লোভ ও নিরহংকারীদের কাতারে কবুল করুক। আমিন।