তবুও বন্দী মাহমুদুর রহমান

জনাব মাহমুদুর রহমান সাহেব একজন পেশাজীবি নেতা। তিনি মেইনস্ট্রিম পলিটিক্সের সাথে খুব মিলেমিশে গড়বাধা রাজনীতি করেন নি। আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক থাকাকালীন উনি এমন কিছু প্রতিবেদন ছাপিয়েছিলেন যার জন্য উনি স্বাভাবিক জীবন যাপনের নিশ্চয়তা হারিয়েছেন।

কথিত আন্তর্জাতিক মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইবুনালের চরিত্র উপস্থাপন করেছিলেন এদেশের মানুষের স্বার্থে। উনি যে খুব ভালো কাজ করেছিলেন তা বলছিনা, বলছি একজন পত্রিকা সম্পাদকের যথার্থ কাজটি উনি করেছিলেন বরং যারা এসব বিষয়ে ওয়াকিবহাল ছিল কিন্তু টু শব্দটি করেনি তারা আজ এমিরেটস সম্পাদক।

দেশ জাতি মানবতা ও বিচারব্যবস্থার স্বার্থে বিচারপতিদের ফোনালাপ ও সরকারের মনোভাব এভিডেন্স সহ প্রকাশ করায় উনাকে গ্রেফতার করা হয় সীলগালা করা হয় আমারদেশ পত্রিকা। নিশ্চিত গ্রেফতার জেনেও নিজ কর্মস্থল থেকে এক চুল না সরা মানুষটি এই অবস্থায়ও কারাবন্দী। পতিত স্বৈরাচারী সরকারের দেওয়া মামলায় একজন নিখাদ দেশপ্রেমিক বন্দী।

হাজারো প্রাণের বিনিময়ে যে সরকারকে এদেশের মানুষ উৎখাত করেছে সে সরকারের মুখোশ উন্মোচনের অপরাধে একজন সিনিয়র নাগরিককে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ খুবই চিন্তার বিষয়।

পতিত স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে এদেশের প্রত্যেকটি মানুষ কোন না কোন জায়গায় বৈরী মনোভাব পোষণ করত এবং আন্দোলনের এত গভীরতা ও জমাট অবস্থাও সেই মনোভাবের প্রমাণ দেয়। এই আন্দোলন কোন ভাবেই এক মাসের আন্দোলন ছিল না। এই বৈরীতা ও আন্দোলন শুরু হয়েছিল ১/১১ সরকারের পর থেকে। এবং অন্যতম অংশীদার এদেশের বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। এই মাহমুদুর রহমান তো সেক্ষেত্রে একটি প্রতিষ্টানে রূপ নিয়েছিল। বরং ১০জন আসিফ নজরুল স্যারদের ত্যাগ ও ভূমিকা যোগ করলেও একজন মাহমুদ স্যারের ত্যাগের সমান হবে না। সে জায়গায় দাড়িয়ে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক কে কারান্তরীন করার সাহস কিভাবে পায় ইনারা।

যেখানে একজন নাগরিককে তার কর্ম ত্যাগ কারা নির্যাতনের জন্য সংবর্ধনা দেওয়া উচিৎ সেখানে কেন অসম্মান করা হলো। কার ইশারায় কেন হচ্ছে এসব? আমাদের আরো সজাগ হতে হবে, প্রতিটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে আঙুল উঠানোর সময় হয়ে আসতেছে বলে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *